ড. শাহীন হাসান ২০০৫ সালে আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৮ সনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রিসিং ডেলিগেইট নির্বাচিত হন। ২০০৬ সনে বাংলাদেশি-আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক ককাস প্রতিষ্ঠাতা করেন। মিশিগান ডেমোক্রেটিক পার্টির সর্বোচ্চ সম্মাননা মার্থিন লুথার কিং অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। তিনি ২০২০ থেকে ২০২৪ টানা দুই মেয়াদে মিশিগান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এক্সিকিউটিভ কমিটির ৬ষ্ট ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। তবে এবারের সম্মেলনে স্টেট সিনেটর কার্টিস হার্টেল ও পরশিয়া রবারসন প্যানেলের সেকেন্ড ভাইস চেয়ারম্যন পদে লড়ছেন ড. শাহীন। টপ তিনটি পদে মিশিগানের ৮৩টি কাউন্টির ২০ হাজার ডেলিগেইট ভোট দেবেন।

ড. শাহীন বলেন, গত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীদের বিপর্য়ের মূল কারণগুলো খতিয়ে দেখা হয়েছে। আমরা নির্বাচিত হলে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি আমেরিকানদের আস্থার ভিত পুন:প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবেন। শুধু হোয়াইট হাউজ আর ক্যাপিটাল হিলেই নয়, স্টেট, সিটি ও কাউন্টি প্রশাসনেও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিজয়ের পথ সুগম করতে হবে। সেই লক্ষ্যে স্টেটের ৮৩টি কাউন্টির ক্লাব, ককাস, ডেমোক্র্যাট ইউনিয়ন ও পেশাজীবি সংগঠনসহ তৃণমূল নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সাংগঠনকে শক্তিশালী করতে সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। স্টেট ও স্থানীয় লেভের নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হবে।
একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ দুটি প্যানেলে ৭ জন লড়াই করছেন। কার্টিস হার্টেল-পরশিয়া রবারসন ও হাসান প্যানেলকে স্টেট গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার,লোটন গভর্নর গার্লিন
গিলক্রিসসহ ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ক্লাব নেতারা সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানান ড. শাহীন।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান শাহীন নাজমুল হাসান। তার বাবা অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস ছিলেন কুমিল্লা-৫ আসনের চারবারের এমপি ছিলেন । সেই সুবাদে ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন তিনি। মিশিগান নর্থভিল সিটির বাসিন্দা ড. শাহীন হাসান পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। বিশ্ববিখ্যাত ফোর্ড মোটর কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার পদে চাকরী করেন। তার স্ত্রী ফারজানা ফেরদৌস জেনারেল ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিতে আইট সিকউরিটিতে কর্মরত আছেন।
ড. শাহীন হাসান ১৯৯০ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকা আসেন। আন্ডারগ্রেজুয়েশন করেন আইওয়া স্টেটের মর্নিংসাইড ইউনিভার্সিটি থেকে। পরবর্তীতে নেব্রাস্কা লিংকন ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি মর্নিংসাইড ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংসদে সরাসরি ভোটে ভিপি এবং ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টিভিটিস কাউন্সিলের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়া নেব্রাস্কা লিংকন ইউনিভার্টির ১০৭টি দেশের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন আইএসও (ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন) এর দুইবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এছাড়া একই ইউনিভার্সিটির ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সেনেটর ছিলেন।
ড. শাহীন কর্ম জীবনে পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি বসবাসকারী এলাকার বিভিন্ন ভাষা বর্ণের মানুসের সাথে সম্পর্ক নিবিড় করতে সক্ষম হন।